সংবাদদাতা:
বহুল কাঙ্কিত হাটহাজারী মাদরাসার শুরা কমিটির বৈঠকে যখন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীকে মহাপরিচালক ঘোষণা করা হয়। ঠিক তখনই আগে থেকে শারীরিক অসুস্থতাবোধ করতে থাকা আব্দুস সালামকে হাসপাতালে নিতে হয়। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী।
বুধবার সকালে শুরা কমিটির বৈঠকে মাদারাসার মহাপরিচালক হিসেবে মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামীকেই বেছে নেওয়া হয় আহমদ শফীর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে শুরা কমিটির বৈঠক শুরু হয়। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে না গিয়ে নিজ কক্ষে অবস্থান করছিলেন আব্দুস সালাম। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শুরা কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে হাটহাজারী মাদরাসায় কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। শাহী গেট দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে মুফতি আব্দুস সালামের আকষ্মিক মৃত্যুর খবরে সেখানকার চিত্র পাল্টে যায়। মাদরাসার হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষক কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শুরা কমিটির বৈঠকে মুফতি আব্দুস সালামকে মহাপরিচালক করার পাশাপাশি মাওলানা শেখ আহমদকে প্রধান শায়খুল হাদিস এবং মাওলানা ইয়াহইয়াকে সহাকারী পরিচালক করার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, মুফতি আব্দুস সালাম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্যানেল মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।